কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার জেলা কারাগারে দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার এবং পাবলিক টয়লেট না থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কারাগারে আগত বিপুল সংখ্যক লোকজন। এ ছাড়াও হাজতি-কয়েদিদের দেখার ঘর ছোট হওয়ায় অনেক দর্শনার্থী হাজতি-কয়েদিদের সাথে দেখা না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জেলা কারাগার প্রাকৃতিক সৌন্দহ্য ভরপুর ও নিরাপদ স্থানে হলেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী কারাগারে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কারাগারের কারো সাথে দেখা করতে হলে নির্ধারিত সময়মত অপেক্ষা করতে হয় বিধায় গন শৌচাগার ও পাবলিক টয়লেটের প্রয়োজন দর্শনার্থীদের। এতে চরম সমস্যার সম্মুখিন হয় মহিলা দর্শনার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
দর্শনার্থী উখিয়া পালংখালীর শাহনাজ বেগম জানান, সকাল ৯টা থেকে এসে অপেক্ষা করছি। কিন্তু একটু হাত মুখ ধোয়ার সুযোগও নেই। প্র¯্রাব পায়খানা করার সুযোগও নেই। পুরুষরা ইচ্ছে মত প্র¯্রাব করতে পারলেও মহিলাদের বেলায় তা সম্ভব নয়। তাদের একটিই দাবী অবিলম্বে গণসৌচাগার ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হউক।
আগত দর্শনার্থী পেকুয়া মগনামার আলী আহমদ জানান, দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন প্রতিদিন জেলা কারাগারে আসলেও একটু বসার জায়গা নেই। অনেকে পায়খানা প্র¯্রাব করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এটি একটু গুরুত্বপূর্ণ কারগার হলেও দর্শনার্থীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা না থাকা দূঃখ জনক। তার সাথে একমত পোষণ করেছেন, মহেশখালীর শাপলাপুরের শাহ আলম ও ঈদগাও এর রমিজ উদ্দিন।
কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইলের ইসকান্দর মির্জা জানান, হাজতি-কয়েদিদের সাথে দেখা করা না করা একই সমান। দেখার ঘরটি ছোট হওয়ায় একজন আরেক জনকে চিনতে পারে না। বিপুল সংখ্যক লোকের মাঝে দাড়িয়ে কথা বলা যায় না। চিৎকার দিয়ে কথা বলতে হয়। ৫ মিনিট কথা বললে গলার স্বর বসে যায়। যে ঘরে সর্বোচ্চ ১৫ জন লোক দাড়িয়ে হাজতি-কয়েদিদের সাথে কথা বলতে পারবে সেখানে কথা বলে প্রায় ২০০ জন লোক। কারাগারের বর্হিবিভাগের পরিবেশ ভাল হলেও শৌচাগার, পাবলিক টয়লেট ও দেখার ঘর ছোট হওয়ায় চরম অস্বস্থির মধ্যে পড়তে হয় দর্শনার্থীদের।
কারাগারের বাইরের এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ব্যবসার স্বার্থে দর্শনার্থীদের জন্য দোকানের পিছনে টয়লেট নির্মাণ করতে চাইলেও বিভিন্ন বিভাগ থেকে বাধা প্রদান করা হয়। দর্শনার্থীদের সেবা দিতে পারলে আমাদের ব্যবসাও বাড়বে।
জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এই সমস্যার সমাধান না করলে আমাদের করার কিছুই নেই। কিছু করতে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। তবে এই সমস্যার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে।
প্রকাশ:
২০১৮-০৩-০১ ১০:১৪:৫৫
আপডেট:২০১৮-০৩-০১ ১০:১৪:৫৫
- চকরিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস পালিত
- চকরিয়াতে বৃষ্টির জন্য তপ্ত রোদে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, শহরজুড়ে উত্তেজনা
- চকরিয়ার হত্যা মামলার ৭ আসামি ফেনী থেকে গ্রেপ্তার
- চকরিয়া মাতামুহুরী নদীতে মাছের ঝাঁক তৈরিকালে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু
- চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি কাটা বন্দুক উদ্ধার, নারীসহ আহত ৫
- চকরিয়ায় বনের ভেতরে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু
- চকরিয়ার প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ৩ গম্বুজ মসজিদের সংস্কার জরুরী
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- চকরিয়ায় মহাসড়কে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক যুবক নিহত, দুইজন আহত
- রামুতে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
- চকরিয়া পৌরসভার তরছপাড়া চৌমুহনীতে বিট কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- চকরিয়া বদরখালীতে গুলি করে হাত-পা কেটে যুবককে খুনের মামলার আসামি শাকিল গ্রেপ্তার
- রামুতে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
- চকরিয়ায় মহাসড়কে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক যুবক নিহত, দুইজন আহত
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- চকরিয়ার প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ৩ গম্বুজ মসজিদের সংস্কার জরুরী
- চকরিয়ায় বনের ভেতরে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে নারীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি কাটা বন্দুক উদ্ধার, নারীসহ আহত ৫
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- চকরিয়া মাতামুহুরী নদীতে মাছের ঝাঁক তৈরিকালে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু
পাঠকের মতামত: